আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে সাতজন জিম্মিকে মুক্ত করে আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্তরা বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিতে পথে রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা এএফপি।
এই খবর পৌঁছাতেই তেলআবিবের ‘হোস্টেজ স্কয়ারে’ অপেক্ষমাণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। সেখানে জিম্মিদের পরিবারের সদস্য ও হাজারো সাধারণ মানুষ খবরের অপেক্ষায় জড়ো হয়েছিলেন।
সেখানকার প্রতিবেদক ড্যানিয়েল বফি জানান, কয়েক হাজার মানুষ স্কয়ারজুড়ে অবস্থান করছিলেন। মঞ্চ থেকে মুক্তির ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশে ধ্বনিত হয় আনন্দের গর্জন—জিম্মিদের একটি অংশ ইসরায়েলি সেনাদের কাছে পৌঁছে গেছে।
যদিও ইসরায়েলি সরকার বা সেনাবাহিনী এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেনি, দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে—মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন মাতান আংগ্রেস্ট, গাই গিলবোয়া দালাল, আলোন ওহেল, গালি বারমান, জিভি বারমান, এয়তান মর এবং ওমরি মোরান। তবে পরে প্রকাশিত একটি তালিকায় এয়তান তজুরের নাম অনুপস্থিত দেখা যায়।
৫৫ বছর বয়সী জুডে ফ্রাইডেনরাইখ ইসরায়েলের পতাকা হাতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “আমি প্রতি শনিবার এখানে আসি—আজ সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল।”
চারদিকে আনন্দ, আবেগ আর অশ্রু—জিম্মিদের মুক্তির এই খবর যেন কিছুক্ষণের জন্য হলেও প্রাণ ফিরিয়ে দিল শোকাহত শহরটিতে।
অন্যদিকে, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোমবার আজীবন সাজাপ্রাপ্ত ২৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাদের পশ্চিম তীর, জেরুজালেমসহ বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ ছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক থাকা ১,৭১৬ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে গাজার নাসের হাসপাতালে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্লেষকদের মতে, এই জিম্মিমুক্তি ও বন্দিমুক্তি—দীর্ঘ উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তার পর দুই পক্ষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক নতুন সূচনা হয়ে উঠতে পারে।