ডেস্ক রিপোর্ট:
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের এবং ইসরাইল উভয় পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ইসরায়েল বলেছে, তেহরানকে এ জন্য ‘কঠিন পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। অন্যদিকে ইরান ‘ধ্বংসাত্মক পাল্টা হামলার’ হুমকি দিয়েছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইরান–সমর্থিত বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর নেতাকে হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানায় তেহরান। এমন সময় এ হামলা চালানো হয়েছে, যখন লেবাননে স্থল হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে ইরান। এর আগে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার জবাবে মধ্য এপ্রিলে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছিল তেহরান। ওই হামলার জবাবে ইরানের অভ্যন্তরে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায় ইসরায়েল।
ইরান যখন ইসরায়েলের ভূখণ্ডে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছিল, তখন ডজনখানেক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘সক্রিয়ভাবে’ সহায়তা দিয়ে যাবে ওয়াশিংটন।
এর আগে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মুখপাত্র জ্যাক সুলিভান বলেন, ইরানের হামলা সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার বড় ঘটনা। তিনি আরও বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে এ হামলার পরিণতি গুরুতর হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে একত্রে কাজ করব।’
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, এ অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে প্রতিরোধ ও কূটনীতি—উভয় কৌশল ব্যবহারের চেষ্টা চলছে।