
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর, উলাই‘য়াহ্ বাংলাদেশের নেতৃত্বে আজ শুক্রবার বাদ জুমু‘আ ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মসজিদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সমাবেশের মূল বিষয় ছিল, “গাজার নির্যাতিত মুসলিমদের বাস্তুচ্যুত করার মার্কিন নীতিকে প্রতিহত করা মুসলিম উম্মাহ্’র উপর অর্পিত ঈমানী দায়িত্ব”।

সমাবেশে বক্তারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা উপত্যকা দখল করবে, সেটির মালিক হবে এবং গাজাকে পুনঃনির্মাণ করবে। এছাড়াও তারা জর্ডান ও মিশরকে গাজা উপত্যকার মুসলিমদের ভাগ করে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।

ছবি: উত্তরা সেক্টর ৪
বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, কেন ট্রাম্প এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিতে সাহস পাচ্ছেন? তারা উল্লেখ করেন যে, গাজার মুসলিমরা ইসরায়েলের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসলীলার মুখেও তাদের ভূমিতে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। গাজার ৬০ শতাংশের বেশি অবকাঠামো ধ্বংস হওয়া সত্ত্বেও তারা তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে এবং তাদের সংকল্প অটুট রয়েছে।

ছবি: উত্তরা সেক্টর ৪
সমাবেশে বক্তারা মুসলিম উম্মাহ্’র ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তারা বলেন, ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি মুক্ত করার জন্য মুসলিম বিশ্বের সামরিক শক্তিকে একত্রিত করতে হবে। তারা সালাউদ্দীন আইয়ূবীর উত্তরসূরী নিষ্ঠাবান সামরিক অফিসারদেরকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান জানান।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো মুসলিম উম্মাহ্’র ঈমানী দায়িত্ব। তারা বাংলাদেশের রাজনীতিক ও বুদ্ধিজীবিদের সমালোচনা করে বলেন, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে, তাদের কাছ থেকে মুসলিম উম্মাহ্’র পক্ষে কোনো সাহায্য আশা করা যায় না।
সমাবেশে হিযবুত তাহ্রীরের নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, খিলাফতই মুসলিম উম্মাহ্’র প্রকৃত অভিভাবক এবং এটি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মুসলিম বিশ্বের উপর চলমান যুলুম বন্ধ করা সম্ভব।
এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা গাজা ও ফিলিস্তিনের মুসলিমদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
