
নিজস্ব প্রতিবেদক
গত রাতে ধানমন্ডি থেকে অভিনেত্রী, সংগীতশিল্পী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুক্ষণ পর আরেক অভিনেত্রী সোহানা সাবা আটক হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তাদের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ডিবি কার্যালয়ে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম গতকাল বলেছিলেন, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, দুই অভিনেত্রীকে ডিবি কার্যালয়ে আনার পর থেকে গোয়েন্দারা তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না পুলিশ।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, দুই অভিনেত্রীকে কোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গোয়েন্দারা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
ডিবির এক সূত্র জানায়, অভিনেত্রী শাওনের পর সোহানা সাবা তাদের নজরদারিতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে।
দেশজুড়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার মধ্যে গতকাল সন্ধ্যায় জামালপুরের নরুন্দিতে শাওনের গ্রামের বাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার গ্রেপ্তারের খবর আসে।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শাওন ২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ময়মনসিংহ বিভাগ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। শাওনের মা তহুরা আলীও জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন। শাওন কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী।
অন্যদিকে, সোহানা সাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে গত বছর জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি শিল্পীদের একটি অংশের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামের একটি গ্রুপে আন্দোলনের বিরুদ্ধে সক্রিয় ছিলেন।
আন্দোলনের সময় সরকার পতনের লক্ষ্যে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিনিময়কৃত কিছু বার্তার স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়লে সোহানা সাবা সমালোচনার মুখে পড়েন।