নিজস্ব প্রতিবেদক:
২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আনুমানিক ২৩,৪০০ কোটি ডলার (বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় ২৮ লাখ কোটি টাকা) বিদেশে পাচার হয়েছে। প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচারের এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে একটি শ্বেতপত্রে, যা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি রিপোর্টস এবং পূর্বানুমানের ভিত্তিতে তৈরি।
শ্বেতপত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকিং খাতের প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং আমলাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অর্থ পাচারের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঘুষ, কর ফাঁকি, ব্যাংক থেকে অর্থ চুরি, প্রকল্প খরচ বাড়িয়ে দেখানোসহ নানা উপায়ে এই অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দুবাই, কানাডা, মালয়েশিয়াসহ করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত দেশে এই অর্থ মূলত সম্পত্তি কেনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে পাচার করা হয়েছে।
শ্বেতপত্রে আরও বলা হয়েছে, অর্থ পাচারের কারণে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যাংক খাতকে “ব্ল্যাকহোল” হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এখানে ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রয়েছে। শেয়ারবাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং উন্নয়ন প্রকল্পের ৪০% পর্যন্ত অর্থ লুটপাটের তথ্যও উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অর্থনৈতিক সুশাসনের ঘাটতি দূর করেই এই সংকটের সমাধান করা সম্ভব।