ইয়াসির আরাফাত:
“ইসকন—আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ। বাইরে থেকে এটি একটি ধর্মীয় সংগঠন, কৃষ্ণভক্তির প্রচারক।কিন্তু এর আড়ালে কি চলছে? ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে কি ইসকন বাংলাদেশে উগ্র ভূমিকা পালন করছে? কেন ইসকনকে নিয়ে বাংলাদেশে এতো বিতর্ক?
“ইসকন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৬ সালে, নিউইয়র্কে। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্রীল এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ। শুরুতে এটি ছিল একান্ত ধর্মীয় সংগঠন, যার মূল লক্ষ্য ছিল কৃষ্ণভক্তিকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া।
ছবি: শ্রীল এ সি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ
তবে, ইসকনের প্রসার বিশেষ করে ভারতের অভ্যন্তরে এত দ্রুত হয়েছে যে এটি প্রশ্ন তুলেছে—ভারত সরকার কি এর প্রসারে সাহায্য করছে? অনেকেই বিশ্বাস করেন, ইসকনকে ভারতের কৌশলগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সামাজিক ও ধর্মীয় প্রেক্ষাপটকে প্রভাবিত করতে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।”
“১৯৭০-এর দশক থেকে ইসকন বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। শুরুতে এটি ছিল নিরীহ ধর্মীয় প্রচারণার মতো—ভগবদ্গীতা পাঠ, কীর্তন এবং প্রসাদ বিতরণ। কিন্তু গত কয়েক দশকে এটি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে ইসকনের অনেক কর্মকাণ্ড প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, এটি শুধুমাত্র ভক্তি প্রচারে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এর আড়ালে জমি দখল, সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি, এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংঘাতের মতো কর্মকাণ্ড চলছে।”
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসকনকে স্থানীয়দের জমি দখলের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ভারতের কিছু শক্তিশালী ব্যক্তি ও সংগঠন এর পেছনে সমর্থন জোগাচ্ছে।
ইসকনের কিছু কর্মকাণ্ডকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে,বিশেষ করে সাম্প্রতিক আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকান্ডকে সাম্প্রদায়িক দাংগা লাগানোর প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছে। সমালোচকরা মনে করেন, ইসকনকে ব্যবহার করে ভারত বাংলাদেশে ধর্মীয়,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে।”
“ইসকনের কার্যক্রম শুধু ধর্মীয় পরিবেশ নয়, বাংলাদেশের সামাজিক কাঠামোকেও প্রভাবিত করছে।স্থানীয় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হচ্ছে।ইসকনের আচার-আচরণ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে সংঘাত তৈরি করেছে।সামাজিক সম্প্রীতির পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা বাংলাদেশের বহু সংস্কৃতির ঐতিহ্যের জন্য হুমকি।”