১০০ কোটি মেট্রো রেল মেরামতের খরচ নামল ১ কোটির নিচে

ডেস্ক রিপোর্ট:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ১৯ জুলাইয়ের হামলায় মেট্রোরেলের কাজীপাড়া স্টেশনে অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়। সেগুলো মেরামতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে জানিয়েছিল ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর এখন জানা যাচ্ছে, স্টেশনটি সংস্কারে এক কোটি টাকাও খরচ হচ্ছে না।

ডিএমটিসিএলের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, স্টেশনটি ঠিকঠাক করতে আপাতত আমাদের খুব মিনিমাম একটা অর্থ ব্যয় হচ্ছে, সেটা কোটির ঘরে যাবে না।

আমদানির সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম ও উপকরণ সংগ্রহ করে কাজীপাড়া স্টেশনের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এ কারণে খরচ একেবারে কমে গেছে বলে জানিয়েছেন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।

ডিএমটিসিএলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুর রউফ বলছেন, মেট্রোরেলের যাত্রীদের একটি বড় অংশ কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন থেকে উঠতেন। এই যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে আমরা দ্রুত মেরামতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সে জন্য আমদানির বদলে স্থানীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম সংগ্র করেছি। সেগুলো দিয়ে যতটা সম্ভব দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশনটি চালু করা হচ্ছে।

জনাব রউফ বলেন, মিরপুর ১০ স্টেশনে যেসব যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক করে ব্যবহার করা সম্ভব, সেগুলো কাজীপাড়ায় কাজে লাগানো হচ্ছে। খরচ কমলেও যাত্রীসেবার মানে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

তবে মিরপুর ১০ স্টেশন চালু করতে সময় লাগবে। ব্যয়ও হতে পারে শত কোটি টাকা। এখানে মেরামতের জন্য বেশির ভাগ সরঞ্জাম আমদানি করতে হবে।

মো. আবদুর রউফ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যে হিসাব করেছি, তাতে মনে হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দুটো স্টেশন মিলিয়ে সংস্কার করতে ১৩৮ কোটি টাকার বেশি লাগবে না।

অথচ গত জুলাই মাসে দুই স্টেশন মেরামত করতে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হতে পারে বলে ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।

তখন কিভাবে হিসাব করা হয়েছিল?

জনাব রউফ বলেন, তখন যারা দায়িত্বে ছিলেন তারাই তা বলতে পারবেন। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক যে হিসাব করেছি, সেখানে ১৩৮ কোটির মতোই ব্যয় হতে পারে।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে ২০১৭ সালে ডিএমটিসিএলের এমডির দায়িত্ব পেয়েছিলেন এম এ এন ছিদ্দিক। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর গত ৯ সেপ্টেম্বর তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে সেই জায়গায় জনাব রউফকে দায়িত্বে দেয়।

দায়িত্ব পেয়েই জনাব রউফ ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি সংস্কার করে দ্রুত চালু করার ওপর জোর দেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা

More From Author

বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেন-তারেক রহমান

ভারত বাংলাদেশকে ২০০ একর জমি ফিরিয়ে দিচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *