ভয়েস অব আমেরিকা
ডেস্ক রিপোর্ট:
ভয়েস অব আমেরিকার জরিপে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে মতামত।
২০২৩ সালে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের মতামত জানতে ভয়েস অব আমেরিকা একটি জরিপ পরিচালনা করে। এতে উঠে আসা মূল বিষয়গুলো হলো:
নির্বাচন আয়োজনের সময়কাল
৬১.১% মনে করেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন এক বছরের মধ্যে হওয়া উচিত।
৬৫.৯% মনে করেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রস্তাবিত **সমস্ত সংস্কার সম্পন্ন করার পর নির্বাচন হওয়া উচিত।
শুধুমাত্র জরুরি নির্বাচনসংক্রান্ত সংস্কারের পর নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৩১.৯%।
১৮.৭% লোক চান, নির্বাচন দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হোক।
৮.৬% মনে করেন, ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত।
মাত্র ৫.৮% মনে করেন, চার বছর বা তার বেশি সময় পর নির্বাচন হওয়া উচিত।
সংস্কারের অগ্রাধিকার
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন:
নির্বাচন কমিশন: ৯৬.৫%
পুলিশ: ৯২.৩%
বিচার বিভাগ: ৯৫.৩%
অর্থনীতি: ৯৬.৪%
সংবিধান: ৯২.৫%
জনমত অনুযায়ী বিবিধ তথ্য
শহরের ৬০.৪% ও গ্রামের ৬১.৪% নাগরিক আগামী এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চান।
তরুণদের (১৮-৩৪ বছর) মধ্যে ৬২.৪% ও প্রাপ্তবয়স্কদের (৩৫+) ৫৯.৮%এক বছরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন।
দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে নির্বাচন চান গ্রামাঞ্চলের ১৮.৬% ও শহরাঞ্চলের ১৮.৯%।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থা রেখেছেন অধিকাংশ অংশগ্রহণকারী।
পদ্ধতি ও নির্ভরযোগ্যতা
- জরিপটি পরিচালিত হয়েছে Random Digit Dialing (RDD) পদ্ধতিতে।
- জরিপে অংশ নেন ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী এক হাজার ব্যক্তি।
- এর মার্জিন অব এরর ৩.১%, ফলে ফলাফল সামান্য পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশের জনগণের একটি বড় অংশ আগামী এক বছরের মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাশা করলেও অধিকাংশই চান যে, নির্বাচন আয়োজনের আগে প্রয়োজনীয় সব সংস্কার সম্পন্ন করা হোক। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, বিচার ব্যবস্থা, সংবিধান এবং অর্থনৈতিক খাতে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত গুরুত্ব পেয়েছে।