প্রেস ব্রিফিং, বাংলাদেশ সেনা বাহিনী
নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিভিল প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, তা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তও সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে আজ বুধবার (১৩ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেনাসদরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান এ কথা বলেন।
পুলিশ ও এসএসএফের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের বিষয়ে একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, এসএসএফের ভারী অস্ত্র খোয়া যায়নি, কিন্তু কিছু পিস্তল হারিয়েছে এবং সেগুলোর সন্ধানে কার্যক্রম চলছে। পুলিশের খোয়া যাওয়া কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে, এবং যেগুলো এখনও উদ্ধার হয়নি, সেগুলোর জন্যও চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন বা নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে কিনা, এবং সেক্ষেত্রে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, সেনাবাহিনী মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রতিরোধে সচেতন। এ বিষয়ে তাদের উপরের নেতৃত্বের নির্দেশনা রয়েছে এবং তারা চেষ্টা করছেন যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য বিষয়গুলোর তুলনায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশের মূল দায়িত্ব রয়েছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন, এবং যদি সহায়তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তারা সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছেন।
পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের ব্যাপারে কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, সরকার পতনের পর দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চলে ৬০০-এর বেশি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। সরকার, বিজিএমইএ, ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যার ফলে দেশের ২০৮৯টি গার্মেন্টস কারখানার অধিকাংশই বর্তমানে চালু রয়েছে।
‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার’ অভিযোগে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর কাছে এই মুহূর্তে কোনো তথ্য নেই, তবে তথ্য পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।