নিজস্ব প্রতিবেদক:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার প্রতীক। সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং রাষ্ট্রের সংস্কারকে তিনি সরকারের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এ লক্ষ্যে সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান তিনি।
আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে “বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, তরুণরা সবার জন্য একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ার দাবি তুলেছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং বাক-স্বাধীনতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা একটি রাষ্ট্র।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সভ্যতা আমাদের ব্যর্থ করেছে। শুধু পরিবেশ ধ্বংস নয়, মুনাফার প্রতি মানুষের অতি-আসক্তিও এই সমস্যার একটি কারণ। তাই আমাদের একটি নতুন সভ্যতা গড়ে তুলতে হবে, যা হবে “থ্রি জিরো” নীতির ওপর ভিত্তি করে—যেখানে সম্পদ কুক্ষিগত করা হবে না, বরং সবার মধ্যে সমানভাবে বণ্টন হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বিদেশি অতিথিদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের রাস্তায় ঘুরে আমাদের তরুণদের মনোভাব বুঝুন। তারা যেমন নতুন একটি বাংলাদেশ কল্পনা করতে শিখিয়েছে, আমাদেরও নতুন বিশ্ব গঠনের বিষয়ে ভাবতে হবে।
উল্লেখ্য, তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন শনিবার শুরু হয়ে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে “এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড”। সম্মেলনে ৮০টিরও বেশি দেশের ২০০ জন আলোচক, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ জন অংশগ্রহণ করবেন।