নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মহানবী (সা.) নারীদের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত করেছেন, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। তাই নারীদের অবদমিত রাখার কোনো কারণ নেই। তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন, আর পোষাকের বিষয়ে নারীদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
শনিবার বিকেলে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নারীরা ঘরে এবং কর্মস্থলে সমানভাবে নিরাপদ থাকবেন। তাদের প্রতি কেউ অন্যায়ভাবে দৃষ্টি দিতে পারবে না। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয় যে, আমরা ক্ষমতায় এলে নারীদের ঘর থেকে বের হতে দেব না। কিন্তু আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এমন কিছু হবে না।
ডা. শফিকুর রহমান বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রশংসা করে বলেন, আমাদের দেশ চমৎকার সম্প্রীতির উদাহরণ। তবে মাঝে মাঝে এতে বিঘ্ন ঘটাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি প্রবেশ করে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। আমরা সম্প্রীতি নষ্ট হতে দেব না। আমাদের লক্ষ্য এমন একটি বাংলাদেশ গড়া, যেখানে সবার জন্য কাজের সুযোগ থাকবে এবং প্রত্যেক কাজকে সম্মান দেওয়া হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, অতীতের সরকার ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ অসংখ্য জামায়াত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে। ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে হত্যার বিভীষিকা ছড়ানো হয়েছে। তবে শত নির্যাতনের মধ্যেও তারা পালিয়ে যাননি। যারা দেশকে ভালোবাসে, তারা পালায় না।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রবাসী কর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তাদের আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানি করা হয়েছে। যারা এ ধরনের কাজ করে, তারা মানবতার শত্রু। এদের থেকে জাতিকে চিরতরে মুক্ত করতে হবে এবং এ ধরনের চক্র যেন আর কখনো ফিরে না আসতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।