
নিজস্ব প্রতিবেদক
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর, যা একসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত, তা ধ্বংসের পর থেকে সিআইডির তরফে এক নতুন অনুসন্ধানের সূচনা করা হয়েছে। সিআইডি জানিয়েছে, ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া হয়েছে কিছু হাড়গোড়, যার পরীক্ষার মাধ্যমে জানা হবে—এগুলি মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর।
সোমবার সকাল পৌনে ৮টায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট সেখানে উপস্থিত হয়ে আলামত সংগ্রহ শুরু করে। সংগ্রহ কার্যক্রম সোয়া ১০টার দিকে শেষ হওয়ার পর, ধানমন্ডি থানার ওসি জানিয়েছেন, “আমরা হাড়গোড় সংগ্রহ করেছি এবং তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে যাতে নিশ্চিত করা যায় এটি মানুষের নাকি অন্য প্রাণীর অবশিষ্টাংশ।”
গত বুধবার ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি ভাঙা শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার, সেখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটার পর গরু জবাই করে অপরাধীরা পালিয়ে যায়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ধ্বংসস্তূপ থেকে রড ও বৈদ্যুতিক তার সংগ্রহ করা হলেও, এসব সামগ্রীর উদ্দেশ্য ও প্রকৃত তথ্য এখনও অনুসন্ধানাধীন।
এছাড়াও, ঢাকার বাইরে বঙ্গবন্ধু ও শেখ পরিবারের ভাস্কর্য-ম্যুরাল ভাঙচুরের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ও কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের খবরও পাওয়া গেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সক্রিয়ভাবে তদন্ত শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে, ঐতিহাসিক ও জাতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে জড়িত এলাকার ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া যে কোনো প্রমাণের গুরুত্ব বেড়ে যায়। তদন্তকারীরা জানাতে বলেছেন, “আমরা সমস্ত আলামত বিশদভাবে পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের চেষ্টা করছি।”
জনমানসে উদ্বেগের ছোঁয়া থাকলেও, সরকারি পক্ষ থেকে যথাসম্ভব দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্তের আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। এই ঘটনাসমূহের প্রেক্ষিতে, ভবিষ্যতে ঐতিহাসিক স্থান ও জাতীয় স্মৃতিচিহ্নের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।