
নিজস্ব প্রতিবেদক
তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরিয়ে নিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংঘর্ষের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি করেন।
ইশরাক হোসেনের অভিযোগ
ফেসবুক পোস্টে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘আজকে রাত জেগে ২০টি টিভি চ্যানেল, ১০টি অনলাইন পোর্টাল, মূলধারার পত্রিকা, কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং বহু টকশো বিশ্লেষণ করে আমার উপলব্ধি, খুলনা ও কুয়েটের কিছু দুর্বৃত্তের কারণে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আন্দোলন অনেকটাই ম্লান হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের অন্যায় ও অবৈধ আচরণের কারণে কয়েক দশক ধরে দুই কোটি জনগণের আহাজারি নিরসনের এই কর্মসূচি কয়েকজন অপরাধীর কর্মকাণ্ডের কারণে মানুষের দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।’
ইশরাক হোসেন আরও বলেন, ‘এই দুর্বৃত্তরা কোন দল করে তা জানা নেই, জানার প্রয়োজনও নেই। যারাই দোষী, তাদের গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব পুলিশের। তারা সেটি করতে ব্যর্থ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গণ্য করতে হবে।’
আরেক পোস্টে তিনি বলেন, ‘ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলবো, তথ্য অনুযায়ী কুয়েটের হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। অপরাধীদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ে ছাড় দেওয়া চলবে না।’
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।