নিজস্ব প্রতিবেদক:
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখজনক এবং অবাক লাগে যখন দেখি ভিত্তিহীন, অবাস্তব তথ্য ব্যবহার করে এক ব্যক্তি অন্যকে আক্রমণ করছে। একটি ভিডিওতে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি নাকি ৩-৪ আগস্ট রাতে ক্যান্টনমেন্টে (সেনানিবাসে) উপস্থিত ছিলেন এবং সেখানে আর্মি অফিসারদের নিয়ে ভারতের দালালদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই দাবি শুনে তিনি হতবাক। তার মতে, মানুষের কল্পনারও একটি সীমা থাকা উচিত।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) আয়োজিত ‘স্মৃতির মিনার: গণঅভ্যুত্থান ২০২৪’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ইলিয়াস হোসেনের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল আরও জানান, ৩ আগস্ট রাতে তিনি মাহবুব মোর্শেদসহ অন্যদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশে অংশ নেন এবং রাত ৯টা পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলার রোডে অধ্যাপক মোস্তফা মামুনের বাসায় রাত কাটান। তার আশঙ্কা ছিল, তাকে হয়তো হত্যা করা হবে বা গ্রেফতার করা হবে। ৪ আগস্ট সন্ধ্যার পর তিনি অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের একটি প্রোগ্রামে অংশ নেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, তাদের হত্যা করা হতে পারে। সেদিন রাতেও তিনি অধ্যাপক মোস্তফা মামুনের বাসায় ছিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, সবকিছুর একটি সীমা থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেন, মতভেদ স্বাভাবিক, কাজের সমালোচনাও হতে পারে, কিন্তু মিথ্যা অভিযোগ কেন তোলা হবে? মানুষ তাকে বিষয়টি পরিষ্কার করার অনুরোধ জানায়। কিন্তু তিনি মনে করেন, সত্যের পাশে থাকলে মানুষ প্রতিবাদ করবেই। আজগুবি কল্পনার একটি সীমা থাকা জরুরি। এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ শুধু তার নয়, সবার ক্ষেত্রেই কমবেশি করা হচ্ছে।
সভায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, লেখক ও সম্পাদক রাখাল রাহা, কবি ও অ্যাক্টিভিস্ট ফেরদৌস আরা রুমী, বাসস পরিচালনা বোর্ডের সদস্য আনোয়ার আলদীন ও নূরে আলম মাসুদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস হোসেন এর আগে শুক্রবার রাতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘পুলিশ, আনসারের সমন্বয়ে গঠিত বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র গেরিলা আক্রমণের পরিকল্পনা’। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।