রিউমার স্ক্যানার
ডেস্ক রিপোর্ট:
শহীদ নূর হোসেন দিবসে(১০ নভেম্বর,২০২৪) আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে ভারতে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে যাতে দাবি করা হয়েছে যে একজন হিন্দু মহিলার বাড়ি মুসলিম ভাড়াটেরা দখল করেছে এবং ৩৫ জন মুসলমান তাকে ধর্ষণ করেছে।এর মধ্যেই ওই নারীর ভিডিও ভারতের একাধিক এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে প্রচারের মাধ্যমে দাবি করা হয়, এই নারী হিন্দু এবং তিনি মুসলিমদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। কতিপয় পোস্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক্স অ্যাকাউন্টকে ট্যাগ করেও এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
ছবি: rumorscanner.com
এসব দাবির পোস্টগুলো ইতোমধ্যে নয় লক্ষাধিক মানুষ দেখেছেন। এসব পোস্টে অসংখ্য নেটিজেন উক্ত দাবিকে সত্য ধরে নিয়ে সমালোচনা করছেন, জানাচ্ছেন তীব্র প্রতিক্রিয়া।
বাস্তবে কোহিনূর আক্তার নামের ওই নারী বাংলাদেশ কৃষি লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পটুয়াখালী জেলা কৃষি লীগেরও অংশ। তিনি একজন মুসলিম এবং তিনি ধর্ষণের শিকার হননি। অনলাইন ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রুমার স্ক্যানার এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ছবি: rumorscanner.com
বুধবার তাদের প্রতিবেদনে রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, রক্তাক্ত হওয়া এই নারী হিন্দু নয় এবং তিনি ধর্ষণের শিকারও হননি। কোহিনুর আক্তার নামের এই নারী আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের নেত্রী। তিনি একজন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। গত ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসে আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচীতে গিয়ে তিনি বিরোধী পক্ষের দ্বারা হামলার শিকার হন। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে ফেসবুকে কৃষক লীগের ডায়েরী নামে একটি পেজে একই ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়৷ উক্ত ভিডিওর ক্যাপশন থেকে জানা যায়, এই নারীর নাম কোহিনুর আক্তার। তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য ও পটুয়াখালী জেলা কৃষক লীগের সদস্য। তিনি গত ১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি বিএনপি জামাত শিবিরের মবজাস্টিস এর শিকার হন এবং পরবর্তীতে গ্রেপ্তার হন।
ছবি: rumorscanner.com
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঘোষণা করেছে যে ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৩৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সেদিনের ঘটনায় কোনো ধর্ষণের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।