
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকায় আজ বুধবার দুপুরে কৃষিবিদ মিলনায়তনে ছাত্রদল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমরা একটা ক্রান্তিকালে আছি। গোটা দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পথে ফিরতে চায়। তবে সন্দেহ তৈরি হয়েছে, সরকার আদৌ নির্বাচন দিতে আন্তরিক কিনা।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের কেউ কেউ ক্ষমা চেয়ে রাজনীতি করতে পারবে—স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার এমন মন্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। গণহত্যাকারীরা যদি রাজনীতিতে ফিরে আসে, তবে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।”
নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “এটা কি সরকারের কোনো কৌশল? নতুন দল গঠনের জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা জনগণ মেনে নেবে না।” তিনি আরও যোগ করেন, “নিজেদের স্বার্থেই অন্তর্বর্তী সরকার ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চাইছে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার যদি নিরপেক্ষতা হারায়, তাহলে আরেকটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। আমার এমন মন্তব্যের পর অনেকে বলেছিলেন, আমরা আরেকটি এক-এগারো চাচ্ছি। কিন্তু খেয়াল করলে সবাই বুঝবে, এক-এগারোতে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী আমরা (বিএনপি)। তাই হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আবারো এক-এগারোর চেষ্টা কিংবা চিন্তা করলে জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না।”
তাঁর বক্তব্যে তিনি সরকারের প্রতি স্পষ্ট বার্তা দেন যে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাওয়া এবং কোনো ধরনের ফ্যাসিবাদী বা স্বৈরাচারী চিন্তার পুনরুত্থান রোধ করা।
এই অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা সরকারের বিরুদ্ধে তাদের দাবি-দাওয়া পুনর্ব্যক্ত করেন। বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার সূত্রপাত করেছে।