
নিজস্ব প্রতিবেদক
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এ কথা জানান বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস।
ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা ও তার সাথে যারা উপস্থিত ছিলেন তারা আশ্বস্ত করেছে অতি দ্রুত নির্বাচন দেয়া হবে”।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক করছে।
বিএনপি মহাসচিব বৈঠক থেকে বেড়িয়ে আরও বলেন, “জনগণের প্রত্যাশা রয়েছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ভোট হবে। আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে সরকার দ্রুত একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।”
তিনি বলেছেন, “গত ১৫-১৬ বছরে মিথ্যা মামলা দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানি করা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারে আমরা নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা বলেছি। তারাও (সরকার) একমত হয়েছেন।”
দ্য ডেইলি স্টার লিখেছে, ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসি: আনোয়ারুল ইসলাম
নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নলী কৃষ্ণ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে রাজনৈতিক নেতা ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সহযোগিতারও আহ্বান জানান।
কমিশনার আরও বলেন, “সবার প্রত্যাশা পূরণের জন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হবে। পিছু হটার কোনো সুযোগ নেই।”
চলমান নির্বাচনী সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেকোনো পরিবর্তন রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা বলেছেন। ঘরে ঘরে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন হালনাগাদ করার কারণে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কারচুপির সম্ভাবনা দূর করতেই এই পদক্ষেপ বলেও উল্লেখ করেন এই কমিশনার।