নিজস্ব প্রতিবেদক:
নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ ভাগাভাগির জন্য দক্ষিণ এশিয়ার একটি গ্রিড গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি উল্লেখ করেন, “নেপাল বাংলাদেশের মাত্র ৪০ মাইল দূরে অবস্থিত, তাই বাংলাদেশ সহজেই জলবিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবে, এবং নেপালের জলবিদ্যুৎও সস্তা হবে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল এবং ভুটানকে দক্ষিণ এশিয়ার গ্রিড তৈরির বিষয়ে ভাবতে হবে।”
আজারবাইজানের বাকুতে জলবায়ু সম্মেলনের ফাঁকে সোশ্যাল বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রিডের অভাবে হিমালয়ের দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনার বেশিরভাগই ব্যবহার করা হয়নি।
নেপালের কর্মকর্তাদের মতে, তাদের দেশে ৪০ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভারত ও বাংলাদেশের মতো বড় দেশগুলোর জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগদানকারী প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বন্যা প্রতিরোধ এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পানি ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “পানি আমাদের প্রধান পরিবেশগত সমস্যা। আমাদের পানি ব্যবস্থাপনাকে এমনভাবে করতে হবে যাতে তা প্রকৃতির জন্য সহায়ক হয়।”
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন এবং দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে। সরকার আগামী জানুয়ারিতে তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে, যেখানে দেশের ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক টি-টোয়েন্টি বিপিএল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কেও আলোচনা করেন। তিনি শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানের কথা উল্লেখ করেন এবং কপ-২৯ এর মূল বিষয়গুলো ও কার্বন ক্রেডিট নিয়ে বাংলাদেশের চলমান আলোচনা নিয়ে কথা বলেন।